মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৮ পিএম
লাগাতার পতনে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে পুঁজিবাজার। মাসের পর মাস চলছে এ পতন। মাঝেমধ্যে সূচকের অবস্থা কিছুটা উত্থানের দিকে গেলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। ছোট ছোট পতনের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে বড় ধরনের পতন দেখা যাচ্ছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচকের পতন হয় ৪১ পয়েন্ট। এর জের ধরে প্রায় পৌনে তিন বছরের (৩৩ মাস) আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। এর আগে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিএসইর সূচকের অবস্থান ছিল চার হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে।
গতকালের বাজার চিত্রে দেখা যায় কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে এর পতন শুরু হয়। এতে শঙ্কিত হয়ে কম দরে শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যায়। যে কারণে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের পতন অব্যাহত থাকে।
দিন শেষে ৪০ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ৩৫৩ প্রতিষ্ঠান ও ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৯৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। অথচ দাম কমেছে ২১৪টির। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমে যাওয়ার কারণে আশঙ্কাজনকহারে কমে যায় বাজার মূলধন। গতকাল একদিনেই ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন কমেছে প্রায় দুই হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা।
এর আগের দিন অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বরও সূচক ৩০ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে যায়। সেদিন সূচক স্থির হয়েছিল চার হাজার ৯২৯ পয়েন্টে। এদিকে গতকাল লেনদেন ৪০০ কোটির ঘরে নিচে নেমে গেছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৩৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়।
পতন অব্যাহত থাকায় পুঁজি রক্ষা নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিমত পুঁজিবাজারে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এ পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই পতন কাম্য নয়। কারণ এখন বাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর তলানিতে রয়েছে। তাদের অভিমত এ বাজার নিয়ে আসলে একটি চক্র খেলা করছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ পুঁজিবাজারে আবারও রাঘববোয়ালদের উপস্থিতি সরব হয়েছে। যারা ২০১০ সালে বাজার থেকে নিজেদের ফায়দা হাসিল করেছিলেন তারা আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন। তারাই কৃত্রিমভাবে বাজারের গতিবিধি পরিবর্তন করছেন। যে কারণে পুঁজিবাজারের করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
যদিও গত সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি করলে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে। এর পরও টানা দু’দিন সূচক নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে লুৎফর রহমান নামে একজন বিনিয়োগকারী বলেন, পুঁজিবাজারে এখন যে পরিস্থিতি চলছে এ পরিস্থিতিতে এটাকে আর পতন বলা যায় না। এটা আসলে ধসের দিকে রূপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এখন খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। দিন যত যাচ্ছে ততই আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের সর্বস্বান্ত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এক শতাংশের কম সূচক কমলে সেটাকে পতন বলা যায় না। তবে বিশেষ কারণ ছাড়া এক কার্যদিবসে এক শতাংশের বেশি সূচকের কমলে তাকে পতন বলে অ্যাখায়িত করা হয়। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচকের পতন হয়েছে দেড় শতাংশের বেশি। সেই হিসাবে এটাকে পতন বলা যায়।
এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া যদি স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এক শতাংশের বেশি কমে যায় তাহলে সেটা ভাবার বিষয়। আমার মনে হয় পুঁজিবাজারে এখন যে পতন হচ্ছে তার জন্য বিনিয়োগকারীদের মনোগত কারণ রয়েছে। তারা শঙ্কিত হয়ে কম দরে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। যে কারণে পতন আরও গতি পাচ্ছে।
একই বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। কেন এ পতন হচ্ছে তা বলা মুশকিল। তবে এ কথা ঠিক যে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি রয়েছে। তারা অন্যের কথা ভয় পেয়ে হাতে থাকা শেয়ার কম দরে ছেড়ে দিচ্ছেন যে কারণে পতন আরও ঘণীভূত হচ্ছে। সূত্র: শেয়ার বিজ।
এসএম নুরুজ্জামান : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্নছিল অর্থনৈতিক মুক... বিস্তারিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর... বিস্তারিত
ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মধ... বিস্তারিত
Bangladesh Securities & Exchange Commission বিভিন্ন সময় Sponsor এর বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে, ২০১৫ সালে DSE/CSE (Listing) Regulations, 2015 এব... বিস্তারিত
Global Insurance Limited DISTRIBUTION OF ANNUAL REPORT-2019 ... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) অ... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির খেলোয়াড়দের গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমা সুবি... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ : ধারাবাহিক বীমা দাবী পরিশোধের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত